আনিসুলহকের জন্ম ৪ মার্চ ১৯৬৫, রংপুরের নীলফামারীতে। পিতা মরহুম
মো: মোফাজ্জল হক, মাতা মোসাম্মৎ আনোয়ারা বেগম। জন্মের পরেই পিতা কর্মসূত্রে তারা চলে আসেন রংপুরে। রংপুর পিটি আই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর কারমাইকেল কলেজ আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় পড়াশোনা করেছেন তিনি। ছাত্রাবস্থা থেকেই সাহিত্য ও সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রকৌশলী হিসেবে একবার যোগ দিয়েছেন সরকারি চারিতে, কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতা তথা লেখালেখিতেই। বর্তমানে একটি প্রথম শ্রেণীর জাতয়ি দৈনিকে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।
সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই কম বেশি তাঁর বিচরণ। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, কলাম, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, ভ্রমণকাহিনী, কাব্য-উপন্যাস, শিশুতোষ রচনা - নানাকিছু লিখেছেন। গদ্যকার্টুন
নামে লেখা তাঁর কলাম খুবই পাঠক প্রিয়।
মা ইংরেজিতে ‘ফ্রিডম’ সমাদার’ নামে অনূদিত ও দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছে। উড়িষ্যা থেকেও ওডিশি ভাষায় বেরিয়েছে মা-এর অনুবাদ।
সাহিত্যের জন্যে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, সিটি ব্যাংক আনন্দ আলো পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরীপদক, খুলনা রাইটার্স ক্লাবপদক, কবি মোজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, সুকান্ত পদক, ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার। তাঁর উপন্যাস মা পাঠক রেসরদার ফজলুল করিম তাঁর দিন লিপিতে লিখেলিছেন : ‘আমি বলি দুই মা। ম্যাক্সিম গোর্কির মা আর আনিসুলহকের মা।... এখন দুই মা যথার্থ মা হয়ে উঠেছেন আমার কাছে।